Nazihar News Network
News from Nazihar It Solution

ডলারে রিজার্ভ রাখলে কার লাভ, কার ক্ষতি

নোবেলজয়ী জোসেফ স্টিগলিৎস মনে করেন, গত চার দশকে বিশ্বে যত সংকট হয়েছে বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে, তার কারণ মূলত এই রিজার্ভ-ব্যবস্থা।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বড় একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভে জমা রাখে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, কোনো একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানির সমপরিমাণ অর্থ রিজার্ভ রাখা নিরাপদ। ফেডারেল রিজার্ভে মার্কিন ডলারে রিজার্ভ রাখা উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোর জন্য কতটা উপকারী, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া এখন প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

রিজার্ভের অর্থ দুর্দিনে কাজে লাগে—যেমন বন্যা-খরার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফসলহানি হলে রিজার্ভের অর্থ দিয়ে খাদ্য আমদানি করা যায়। তবে এর মধ্য দিয়ে গরিব দেশগুলো থেকে অর্থ ধনী দেশে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে এসব দেশের সুদহার ও মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে বিপর্যয়ের শঙ্কা থেকে যায়। মনে করা হয়, ধনী দেশ থেকে ঝুঁকি উল্টো দরিদ্র দেশে চালান হচ্ছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎস মনে করেন, গত চার দশকে বিশ্বে যত সংকট হয়েছে, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে, তার একটি কারণ এই রিজার্ভ-ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার কিছুটা সংস্কার করা হলে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল ও শক্তিশালী হতো।

২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ফেডের কাছে গচ্ছিত রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ২৪ হাজার কোটি ডলার। ইদানীং ট্রেজারি বিলের সুদহার বাড়লেও ২০২২ সালের আগপর্যন্ত তা বেশ কম ছিল। মেকিং গ্লোবালাইজেশন ওয়ার্ক শীর্ষক বইয়ে জোসেফ স্টিগলিৎস বলেছেন, রিজার্ভের অর্থ স্বল্প সুদে যুক্তরাষ্ট্রকে ধার না দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে উন্নয়নশীল দেশগুলো অনেক বেশি লাভবান হতো। কারণ, উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থের অভাবে অনেক প্রকল্প হাতে নিতে পারে না।

দেখা যাক, যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে লাভবান হচ্ছে। প্রথমত, মার্কিন সরকার স্বল্প সুদে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে এই রিজার্ভের অর্থ থেকে ঋণ নিচ্ছে। এই অর্থ তারা উন্নয়নমূলক কাজে বা জনগণের সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যবহার করে। রিজার্ভ-ব্যবস্থা না থাকলে তার পক্ষে এত ঋণ করা হয়তো সম্ভব হতো না।

দ্বিতীয়ত, ধরা যাক, কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে বাজারের নির্ধারিত সুদহারে ১০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়, স্বল্পমেয়াদি ঋণের অন্তত সমপরিমাণ রিজার্ভ রাখা হোক। এখন সেই দেশ ঋণের বিপরীতে ফেডের কাছে সমপরিমাণ অর্থ রিজার্ভ রাখল। সেই বেসরকারি ব্যাংক যে সুদে দেশটিকে ঋণ দিয়েছে, মার্কিন সরকার ট্রেজারি বিলের বিপরীতে দেশটিকে সমপরিমাণ সুদ দেয় না। ফলে যুক্তরাষ্ট্র দরিদ্র দেশগুলোকে যে অর্থ দেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি তাদের কাছ থেকে নিয়ে যায়।

ডলারে আধিপত্য কমলেও রিজার্ভ মুদ্রা বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের জায়গা ইউয়ান বা ইউরো নেবে—শিগগির এমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তবে ইউয়ান, ইউরোর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। অন্য কোনো মুদ্রা ডলারের জায়গা নিলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। বিশ্লেষকদের মতে, ডলারভিত্তিক রিজার্ভ-ব্যবস্থা কীভাবে অর্থনীতির রাশ টানছে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। সেটা হলেই কেবল আগের চেয়ে ভালো কোনো ব্যবস্থার দিকে যাওয়া সম্ভব।

বৈশ্বিক আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতার জন্য যে শুধু ডলারভিত্তিক রিজার্ভ-ব্যবস্থা দায়ী তা হয়তো নয়, তবে এটি অন্যতম কারণ। প্রশ্ন হচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি বিদ্যমান ব্যবস্থা থেকে এখন যেভাবে বহু মুদ্রাভিত্তিক ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে, তা কি আগের সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবে?

প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ শত শত কোটি ডলারের রিজার্ভ রাখছে, তাতে অর্থনীতিতে চাহিদার সংকট হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। শক্তিশালী বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য শক্তিশালী চাহিদা প্রয়োজন। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা উৎপাদনের জন্য যথাযথ সক্ষমতা দরকার। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রিজার্ভের বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা থাকায় তা কাজে আসে না। বিদ্যমান বাস্তবতায় বিশ্বের অনেক দেশের পক্ষে সে চাহিদা তৈরি করা সম্ভব হয় না বলে এই শূন্যতা নানাভাবে পূরণ করা হয়। অতীতে অনেক উন্নয়নশীল দেশ এসব ক্ষেত্রে মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির রাশ ছেড়ে দিত। ফলে সরকার সাধ্যের অতিরিক্ত ব্যয় করে ফেলত। পরিণাম—আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করে তারা ঋণের চক্রে পড়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য আরেক দিক দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে পুষিয়ে দিচ্ছে। সেটি হচ্ছে, রিজার্ভে অর্থ রাখায় অন্যান্য দেশের সামগ্রিক চাহিদা কমলেও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের চূড়ান্ত বা শেষ ভোক্তা হয়ে উঠেছে। তারা ঋণ করে বিপুল ঘাটতি বাজেট নিয়ে চলতে পারে। বিশেষ করে ২০০০ সালের পর থেকে বিপুল অঙ্কের ঘাটতি নিয়ে তারা চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্বল্প সুদে যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ দেওয়ায় সে দেশের রাজনীতিকেরা সুবিধা পাচ্ছেন। ডলার বিশ্বের একটি রিজার্ভ মুদ্রা হওয়ায় তাঁরা করহার কমিয়েই যাচ্ছেন, আর ধনীরা নানা ধরনের ছাড় পাচ্ছেন।

প্রশ্ন হলো, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়েও যুক্তরাষ্ট্র কেন এত ঋণ করে। যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু বিপুল ঋণ করে বিশ্ব অর্থনীতিকে একধরনের সেবাও দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এমন অমিতব্যয়ী না হলে বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারাত। ভোক্তাদের কেনাকাটার আগ্রহ কমে যেত।

আরও পড়ুনমূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও রিজার্ভ রক্ষায় প্রতিবেশীরা সফল, আমরা কেন ব্যর্থ

আরেকটি বিষয় হলো, চলমান যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নাগরিকদের প্রণোদনা দিতে মার্কিন সরকার তিন লাখ কোটি ডলার সমপরিমাণ মুদ্রা ছেপেছিল।

মোট তিন দফায় তারা নাগরিকদের প্রণোদনা দিয়েছে। এতে একসময় মানুষের হাতে অনেক অর্থ জমে যায়। অন্যদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা চাপে পড়ে। উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বাড়ে, দাম বাড়ে খাদ্যের। পরিণামে শুরু হয় উচ্চ মূল্যস্ফীতি।

তবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনীতিতে কত দিন এই সেবা দিয়ে যাবে অর্থাৎ তার এই ক্রয়ের মানসিকতা কত দিন থাকবে। যদি তাদের মানসিকতা না থাকে, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা কী?

বিকল্প কী

এই সমস্যার একটি সমাধান দিয়ে গেছেন জন মেইনার্ড কেইনস। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রিজার্ভ হিসেবে নতুন একধরনের ‘ফিয়াট মানি’র ব্যবহার করতে পারে। এর নাম দেওয়া যাক ‘বৈশ্বিক গ্রিনব্যাক’। দেশগুলোকে ঐকমত্যে আসতে হবে, সংকটের সময় তারা নিজেদের মুদ্রার সঙ্গে এই ফিয়াট মানি বিনিময় করবে। ফিয়াট মানি হলো সরকারের ইস্যু করা মুদ্রা, যার গ্যারান্টি দেয় সরকার।

এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের সময় জাপান ‘এশীয় মুদ্রা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। এটা অনেকটা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশীয় সংস্করণ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র বিরোধিতায় তা আর সফল হয়নি। তবে ২০০০ সালের মে মাসে আসিয়ান ও সহযোগী দেশগুলো থাইল্যান্ডে এক বৈঠক করে ‘চিয়াংমাই ইনিশিয়েটিভ’-এ স্বাক্ষর করে। এর মাধ্যমে তারা মূলত পারস্পরিক রিজার্ভ বিনিময়ে ঐকমত্যে আসে।

তবে কেইনসের প্রস্তাবিত তত্ত্ব অনুযায়ী, বিশ্ব সম্প্রদায় ইতিমধ্যে একধরনের ফিয়াট মানির অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছে। সেটি হচ্ছে আইএমএফের স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস বা এসডিআর। এটি আইএমএফের নিজস্ব মুদ্রা, যার নিয়ন্ত্রণ এই সংস্থার হাতে।

তবে ডিজিটাল মুদ্রার যুগও আসন্ন। বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ডিজিটাল মুদ্রা চালু হলে একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আরেকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরাসরি লেনদেন সম্ভব হবে।

বিনিময় হার নির্ধারিত হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের ব্যবহারও অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। তবে বিষয়টি আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করবে।

কেন রিজার্ভ

১৯৪৪ সালে ৪৪টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ব্রেটন উডস শহরে একটি চুক্তি করে। সিদ্ধান্ত হয়, এসব দেশের মুদ্রার বিনিময়মূল্য মার্কিন ডলারের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে। আর ডলারের মূল্য নির্ধারিত হবে স্বর্ণমানের ভিত্তিতে। ১৯৪৭ সালে বিশ্বের মোট মজুত স্বর্ণের ৭০ শতাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। স্বর্ণের মজুত এবং ডলারের স্থিতিশীল মূল্যের কারণে সেসব দেশ রিজার্ভ কারেন্সি (মুদ্রা) হিসেবে ডলার রাখতে একমত হয়। মূলত ডলারের আধিপত্য তখন থেকে শুরু।

এই ব্রেটন উডস চুক্তির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক। ঐতিহ্যগতভাবে আইএমএফের প্রধান নির্বাচিত হন ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আর বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে পশ্চিম ইউরোপের দেশের এবং জাপানের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। তারা ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সোনা কিনতে থাকে। এতে কমতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের সোনার মজুত।

আবার ভিয়েতনাম যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে ওয়াশিংটন বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ছাপায়। ফলে ডলারের সঙ্গে সোনার সংযোগ বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুনরিজার্ভ কমছেই, পতন ঠেকানো যাচ্ছে না 

ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আরেক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ১৯৭১ সাল। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ঘোষণা দেন, স্বর্ণমানের ভিত্তিতে ডলারের মূল্য আর নির্ধারিত হবে না, বিশ্ব অর্থনীতিতে যা ‘নিক্সন শক’ নামে পরিচিত। তবে এরপর ডলারের গুরুত্ব কিন্তু কমেনি।

বিশ্বজুড়ে ডলারের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে ১৯৭৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, সৌদি আরব থেকে জ্বালানি তেল কিনলে যেকোনো দেশকে মার্কিন ডলারে মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

বিনিময়ে সৌদি আরবকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। দুই বছর পর ১৯৭৫ সালে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক সৌদি আরবের মতোই সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবে দিনে দিনে বিশ্বব্যাপী ডলারের আধিপত্য বাড়তে থাকে।

ডি-ডলারাইজেশন

সবকিছুরই সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকাররা বুঝতে পারেন, নিজেদের মুদ্রার ব্যাকআপ হিসেবে ডলার রাখার দরকার নেই। নিজেদের মধ্যে মুদ্রা রূপান্তর করা গেলে রিজার্ভে কত ডলার আছে, তা আর জরুরি নয়; বরং কত সম্পদ আছে, সেটাই জরুরি। এরপরের প্রশ্ন হলো, কীভাবে সেই সম্পদ ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার উত্তর হচ্ছে, বহুমুখীকরণ। এমন হলে ডলারে এত রিজার্ভ ধরে রাখার আর যৌক্তিকতা থাকে না।

২০২২ সালে প্রকাশিত আইএমএফের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের অনুপাত কমছে। বিনিময় হারের উত্থান-পতন বিবেচনায় গত বছর বৈশ্বিক রিজার্ভে ডলারের হিস্যা ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এমনকি আইএমএফ ডলারে রাখা রিজার্ভের যে হিসাব দিচ্ছে, তা ১৯৯৯ সালের পর সবচেয়ে কম।

ডলারে আধিপত্য কমলেও রিজার্ভ মুদ্রা বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের জায়গা ইউয়ান বা ইউরো নেবে—শিগগির এমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তবে ইউয়ান, ইউরোর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। অন্য কোনো মুদ্রা ডলারের জায়গা নিলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। বিশ্লেষকদের মতে, ডলারভিত্তিক রিজার্ভ-ব্যবস্থা কীভাবে অর্থনীতির রাশ টানছে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। সেটা হলেই কেবল আগের চেয়ে ভালো কোনো ব্যবস্থার দিকে যাওয়া সম্ভব।

Add comment

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.