Nazihar News Network
News from Nazihar It SolutionNews from Nazihar It Solution

৫৩ বছর পর পাওয়া গেল ‘ট্রাংক লেডির’ পরিচয়

৫৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে একটি ট্রাংকের ভেতর এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি তখন ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করে। তবে তাঁর পরিচয় উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ‘ট্রাংক লেডি’ নামে পরিচিতি পান ওই নারী। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, ওই নারীর নাম সিলভিয়া জুন আথারটন। পাঁচ সন্তানের এই মা অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের টাকসনের বাসিন্দা ছিলেন।

১৯৬৯ সালে হ্যালোউইন উৎসবের সময় ফ্লোরিডার সেইন্ট পিটার্সবার্গের একটি বনাঞ্চলে একটি ট্রাংকের ভেতর আথারটনের মরদেহ পাওয়া যায়। গত মঙ্গলবার সেইন্ট পিটার্সবাগ পুলিশের উপপ্রধান মাইকেল কোভাকসেভ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সে সময় দুই শিশু দুই শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে একটি পিকআপে এসে কালো রঙের ট্রাংকটি ফেলে দিতে দেখে। ওই শিশুরা জানায়, ট্রাংকটি ফেলে তাঁরা চলে যান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, আথারটনের মরদেহ একটি লম্বা প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিল। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। গলা প্যাঁচানো ছিল একটি বোলো টাই দিয়ে।

সে সময় তদন্ত কর্মকর্তারা আথারটনের পরিচয় শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে তাঁকে মেমোরিয়াল পার্ক করবে সমাহিত করা হয়।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেক অপরাধবিষয়ক টিভি অনুষ্ঠানে বিষয়টি প্রচারিত হয়। অনেক সাংবাদিক এই ‘ট্রাংক লেডি’ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করেন। বিষয়টি বছরের পর বছর আলোচিত হয়। ২০১০ সালে তাঁর দেহাবশেষ তোলা হয়। এরপরও গোয়ান্দারা এর কোনো কিনারা করতে পারেননি।

৫৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে একটি ট্রাংকের ভেতর এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি তখন ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করে। তবে তাঁর পরিচয় উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ‘ট্রাংক লেডি’ নামে পরিচিতি পান ওই নারী। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, ওই নারীর নাম সিলভিয়া জুন আথারটন। পাঁচ সন্তানের এই মা অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের টাকসনের বাসিন্দা ছিলেন।

১৯৬৯ সালে হ্যালোউইন উৎসবের সময় ফ্লোরিডার সেইন্ট পিটার্সবার্গের একটি বনাঞ্চলে একটি ট্রাংকের ভেতর আথারটনের মরদেহ পাওয়া যায়। গত মঙ্গলবার সেইন্ট পিটার্সবাগ পুলিশের উপপ্রধান মাইকেল কোভাকসেভ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সে সময় দুই শিশু দুই শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে একটি পিকআপে এসে কালো রঙের ট্রাংকটি ফেলে দিতে দেখে। ওই শিশুরা জানায়, ট্রাংকটি ফেলে তাঁরা চলে যান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, আথারটনের মরদেহ একটি লম্বা প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিল। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। গলা প্যাঁচানো ছিল একটি বোলো টাই দিয়ে।

সে সময় তদন্ত কর্মকর্তারা আথারটনের পরিচয় শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে তাঁকে মেমোরিয়াল পার্ক করবে সমাহিত করা হয়।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেক অপরাধবিষয়ক টিভি অনুষ্ঠানে বিষয়টি প্রচারিত হয়। অনেক সাংবাদিক এই ‘ট্রাংক লেডি’ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করেন। বিষয়টি বছরের পর বছর আলোচিত হয়। ২০১০ সালে তাঁর দেহাবশেষ তোলা হয়। এরপরও গোয়ান্দারা এর কোনো কিনারা করতে পারেননি।

পুলিশ জানায়, দাঁত ও হাড়ের যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। ফলে তা পরীক্ষায় যথাযথ ফলাফল পাওয়া যায়নি। পরে চুল ও চামড়ার নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

হত্যার সময় আথারটনের বয়স ৪১ বছর ছিল উল্লেখ করে সেইন্ট পিটার্সবাগ পুলিশের উপপ্রধান মাইকেল কোভাকসেভ বলেন, ৫৩ বছর পর এখন তাঁর নাম জানা গেল। তাঁর পরিবারের অপেক্ষা ফুরাল।

এত বছর মায়ের সন্ধান পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আথারটনের মেয়ে সিলেন গেটস এক ভিডিও কলে বলেন, ‘এটা সত্যিই খুবই বেদনাদায়ক। আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না, তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছে।’

সিলেন গেটস জানান, তাঁর মা যখন ১৯৬৫ সালে শিকাগোর টাকস ছেড়ে যান, তখন তাঁর বয়স ছিল ৫ বছর।

আথারটন পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিন সন্তানকে নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী স্টুয়ার্ট ব্রাউনের সঙ্গে টাকসন ছাড়েন। এর মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। ওই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। তাঁর স্বামীও শাশুড়ির সঙ্গে টাকসন ছেড়ে যান।

টাকসনে আথারটনের সাবেক স্বামীর সঙ্গে থেকে যায় সিলেন গেটস ও তাঁর ১১ বছর বয়সী এক ভাই।

Add comment

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.